পাক-ভারত যুদ্ধ জিহাদ নাকি ভণ্ডামি?

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সনাতনী অনুসারী হত্যা হয় ভারতে।
জাতের নামে,বিভিন্নভাবে তারাই তাদের হত্যা করে চলছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম হত্যাকারীর অন্যতম পাক সেনারা – ফিলিস্তিনী এক রাতে ১০ হাজার যা black September নামে খ্যাত

,বেলুচিস্তানের হাজার হাজার,আফগানে ৪ লাখ মুসলিম মারতে সাহায্য করেছিল।

ধর্ষনের সংখ্যা অনেক বেশি। বাংলাদেশেরটা বাদই দিলাম।

আর সিন্ধ,পাকতুখস্হানে প্রতিদিনই চলছে।

চীনের সন্তুষ্টি অর্জনে লাল মসজিদে আলেমদের লাশ বিছিয়েছিল।

অথচ ওরাই ধর্মের নামে যুদ্ধের ঘোষণা দেয়,তবু যাচাই বাচাই না করেই আমরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পুড়ানো হিন্দু ধর্মগ্রন্থ মনুসংহিতা যা ভারতের সংবিধানের লেখক ভীমরাও এর নেতৃত্বে হয়েছিল।

ভারতের সংবিধানের মুখ্য লেখক ভীমরাও তাদের ধর্মগ্রন্থ/রাষ্ট্রীয়নীতির বই মনুসংহিতার হাজার হাজার কপি পুড়িয়েছেন এবং সংবিধানে কখনো যাতে মনুসংহিতা নীতি অনুসরণ করা না হয় এমন আইনগুলো রচনা করেন।

এজন্য তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। আজও তার লেখা অধিকাংশ আইনে বিদ্যমান। ভারতীয়রা তার নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

অপরদিকে ইসলামের নামে ক্ষমতা নিলেও পাকিস্তানের শাসকগণ, সেনারা অধিকাংশই ছিল শিয়া ইশনে আশারী। পশ্চিমাদের সমর্থন পেতে হিন্দু, কাদেয়ানীরা আইন লিখেছিল।
আজ সবচেয়ে বেশি কাদেয়ানী পাকিস্তানে।
(যদি জনগণের চাপে কাদেয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করেছে)
লাখো লাখো শিয়া আবুবকর, উমর, উসমান (রা:) প্রকাশ্যে কাফের বলে অভিশাপ দেয়।

আয়েশা রা,হাফসা রা কে রসুল(সাঃ) হত্যাকারী(বিষপান করানো) প্রচার করে, তাদের চরিএ নিয়ে অপবাদ দেয়।

কোন মুমিন মুসলিম প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদের উপর জুলুম, হত্যা করে।

আর পাক-বাংলা কি কুরআন দ্বারা শাসিত হয়েছিল নাকি মানবরচিত আইন দ্বারা?

ভারত যত মুসলিমের বিরুদ্ধে জুলুম ও নির্যাতন করবে ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিরাপদ নয় ঘোষণা করবে বা সংখ্যালঘুর উপর আঘাত আসবে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা লোকগুলো জনপ্রিয় হবে, ভোট ও ক্ষমতা পাবে। যারা ওদের ফাদে পড়ে ভাবেন- ভারত আপনাদের রক্ষায় অনেক কিছু করবে তাহলে মিথ্যা স্বপ্ন দেখে নিজেদের বিপদ ডাকছেন। অপরদিকে পাকিস্তান-বাংলাদেশের শাসকরা যত ভারত বিদ্বেষ ছড়াবে ততই তাদের জনপ্রিয়তা বাড়বে ও ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সুবিধা হবে। অথচ চীনের উইঘুর, মায়ানমারের মুসলিমদের উপর কি পরিমাণ জুলুম হয়েছে, হচ্ছে তাদের সাথে এরা পরমবন্ধুতা বজায় রাখে।

তাই যখনি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, অরাজকতা, হত্যার বিচার বিভিন্ন ইস্যুতে শাসকদের জনপ্রিয়তা কমে যায়। তখনি কেউ স্বাধীনতা, দেশপ্রেম, ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগায়। অথচ নিজরাষ্ট্র কুফরী আইন দ্বারা পরিচালিত করে। কেউ ইসলামের আইন প্রতিষ্ঠা করতে বললে উগ্রবাদী বলে। ইসলাম ও মুসলিমের কল্যাণ চাইলে আগে নিজ রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েম করতো।

তাই ওদের জাতীয়বাদী যুদ্ধকে ধর্মীয় ঘোষণা (গাজাওয়ে হিন্দ) ঘোষণা না করে জাতিকে সচেতন করুন।

মুসলিমরা ভারতবর্ষসহ, বিশ্ববিজয় করবে তবে তা জাতীয়তাবাদের পতাকাতলে নয় বরং কালেমার পতাকাতলে।
কোনদেশের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নয় বরং সবদেশের মুমিন,মুজাহিদদের ভূমিকা থাকবে।কোন রাষ্ট্রীয় সংবিধানের জন্য নয় বরং কুরআনের সংবিধানের জন্য লড়াই করবে।
আজ যুদ্ধবিরতি চলছে – এই কারনে পাক- ভারত কে কারো আক্রমন করবে না।

যদি ভারত কাশ্মীরের মুসলিম মারে তা পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়,নিজদেশের একজন মারলে আবার ধর্মীয়(গাজাওয়ে হিন্দ) যুদ্ধ ঘোষণা করবে।

Collected & Share from Salsabil

Share With freinds & Others

Leave a Comment