শুরু হচ্ছে এই বছরের প্রথম মৌসুমি বৃষ্টি বলয়

শুরু হচ্ছে শক্তিশালী মৌসুমি বৃষ্টি বলয় “ঝুমুল”(পরিমার্জিত আপডেট)

এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টি বলয়, মানে এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের সকল এলাকায় যথেষ্ট বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
এবং এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের ১০০ শতাংশ এলাকা কমবেশি আক্রান্ত হতে পারে।

এটি চলতি বছরের পঞ্চম বৃষ্টি বলয় ও প্রথম মৌসূমী বৃষ্টি বলয়, যা আগামী ২৮ শে মে দেশের উপকূলীয় এলাকা হয়ে শুরু হয়ে আগামী ০৫ জুন সিলেট হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।

সর্বাধিক সক্রিয়ঃ সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ
অধিক সক্রিয় : রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ।

নাম : শক্তিশালী বৃষ্টি বলয় ঝুমুল
টাইপ : পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টি বলয়।
কাভারেজ : দেশের প্রায় ১০০ শতাংশ এলাকা।
ধরন : মৌসূমী বৃষ্টি বলয়
সময়কাল : ২৮ শে মে হতে ৫ই জুন পর্যন্ত।
সর্বাধিক সক্রিয়ঃ ২৯-৩০ মে ২০২৫ ও ১-২ জুন
[ ২রা জুনের পর খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টিপাত অনেক কমে আসতে পারে ]

কালবৈশাখী : নেই
বজ্রপাত : অপেক্ষাকৃত কম
বন্যা : আছে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিচু এলাকায়। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট,গাইবান্ধা, জামালপুর নেত্রকোনা, শেরপুর, সুনামগঞ্জ, সিলেট ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও এর আশেপাশের কিছু জেলায় নিচু বন্যা প্রবণ এলাকায়।
একটানা বর্ষন : আছে
সিস্টেম : একটি নিম্নচাপ আছে।

ঝড় : এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের উপর কোন গুরুতর ঝড়ের সম্ভাবনা নেই। তবে উপকূলীয় এলাকায় নিম্নচাপ জনিত কিছুটা জোরালো দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এবং দেশের অভ্যন্তরেও মোটামুটি দমকা হওয়া থাকতে পারে।
সাগর : বেশিরভাগ সময়েই কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে মৌসূমী বায়ু ও সিস্টেমজনিত বায়ুর চাপের তারতম্যের কারণে।
পাহাড় ধসঃ এসময় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকাতে পাহাড় ধ্বসের বেশ আশঙ্কা রয়েছে।

নোট : বৃষ্টিবলয় ঝুমুল চলাকালীন সময়ে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। ও অধিক সক্রিয় এলাকায় মেঘলা থাকতে পারে। ঝুমুলে অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতেপারে একটানা ও দীর্ঘস্থায়ী।

*এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন সময়ে দেশের প্রায় ৯০% এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পুরন হতে পারে।

বৃষ্টি বলয় ঝুমুল সম্পর্কিত আরো বিস্তারিত তথ্য

বৃষ্টিবলয় ঝুমুল চলাকালীন সময়ে দেশের আবহাওয়া অধিকাংশ এলাকায় আরামদায়ক থাকতে পারে, তবে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু এলাকায় শেষদিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বা ভ্যাপসা গরম অনুভূত হতে পারে।

ঝুমুল চলাকালীন সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর অধিকাংশ সময়েই বায়ুচাপের তারতম্যের কারনে কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।
ঝুমুল চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি তেমন পাওয়া যাবেনা ইনশাআল্লাহ।

মেঘের অভিমুখ: অধিকাংশ এলাকায় দক্ষিণ হতে উত্তর দিকে। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় গতিপথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে মেঘের গতিপথ শুরুতে দক্ষিণ হতে উত্তর এবং শেষ দিকে তা ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন হয়ে পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম হতে পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে হতে পারে।

বজ্রপাতঃ এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের অধিকাংশ এলাকায় স্বাভাবিক বজ্রপাত হতে পারে। বৃষ্টি বলয়ের অনেকাংশে বজ্রপাত মুক্ত থাকতে পারে।

ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণঃ বৃষ্টি বলায় ঝুমুল চলাকালীন সময়ে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের বেশ কিছু এলাকায়। এবং ভারী বৃষ্টি তুলনামূলক কম থাকতে পারে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বা খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের পশ্চিমে জেলা সমূহে।

বৃষ্টি বলে ঝুমুল চলাকালীন কোথায় কেমন বৃষ্টিপাত হতে পারে?

আসুন একনজরে দেখেনেই বৃষ্টি বলয় ঝুমুল চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ও বৃষ্টি বলয়ের ৯ দিনে কোন বিভাগে গড়ে কত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

ঢাকা ১৮০-২২০ মিলিমিটার, গড়ে ৬দিন
খুলনা ১০০-১৫০ মিলিমিটার গড়ে ৪ দিন
বরিশাল ১৮০-২৫০ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন
সিলেট ৩০০-৪০০ মিলিমিটার গড়ে ৭ দিন
ময়মনসিংহ ২৫০-৩০০ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন
রাজশাহী ৭০-১২০ মিলিমিটার গড়ে ৩ দিন
রংপুর ১৫০-২৫০ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন
চট্টগ্রাম ২৫০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৬ দিন।

আসুন একনজরে দেখে নেই, বৃষ্টি বলয় ঝুমুল চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে।
জেলার নাম। বৃষ্টির পরিমান (মিমি)

সিলেট। ৪০০+

সুনামগঞ্জ। ৩৫০+

হবিগঞ্জ। ২৮০+

মৌলভীবাজার। ২৯০+

রংপুর, ১৭০+

দিনাজপুর, ১৮০+

ঠাকুরগাঁও। ৮০+

পঞ্চগড় ২০০+

নীলফামারী ২০০+

লালমনীরহাট। ২৫০+

কুড়িগ্রাম। ২৮০+

গাইবান্ধা ১৯০+

জয়পুরহাট। ১৮০+

নওগাঁ ১১০+

বগুড়া ১৫০+

চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ৬০+

রাজশাহী ১০০+

নাটোর। ১২০+

সিরাজগঞ্জ। ১৫০+

পাবনা ১৪০+

খুলনা(উত্তর) ১৩০+
খুলনা (দক্ষিন) ২০০+

সাতক্ষীরা (উত্তর) ১০০+
সাতক্ষীরা(দক্ষিণ) ১৮০+

বাগেরহাট(উত্তর) ১৫০+
বাগেরহাট(দক্ষিন) ২২০+

যশোর, ১২০+

নড়াইল। ১৪৫+

মাগুরা ১৬০+

ঝিনাইদহ। ১৪০+

চুয়াডাঙ্গা ১২০+

মেহেরপুর। ১১০+

কুষ্টিয়া ১৪০+

বরিশাল, ২১০+

পিরোজপুর। ২০০+

ঝালকাঠি ২০০+

পটুয়াখালী ২৫০+

বরগুনা ২৪০+

ভোলা ২৮০+

চট্টগ্রাম, ৩০০+

ফেনী ৩৫০+

লক্ষ্মীপুর ২৮০+

চাঁদপুর। ২৫০+

কুমিল্লা দক্ষিণ ২৮০+
কুমিল্লা উত্তর ২৫০+

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০+

খাগড়াছড়ি ২২০+

রাঙ্গামাটি ২০০+

বান্দরবান। ৩০০+

কক্সবাজার। ৫০০+

নোয়াখালী, ৩০০+

ঢাকা ২০০+

গোপালগঞ্জ। ১৬০+

মাদারীপুর। ১৮০+

শরিয়তপুর ১৯০+

ফরিদপুর। ১৭০+

রাজবাড়ী। ১৬০+

মানিকগঞ্জ। ১৯০+

মুন্সীগঞ্জ। ২০০+

নারায়ণগঞ্জ। ২১০+

নরসিংদী ২২০+

গাজীপুর। ২২০+

টাঙ্গাইল। ২০০+

কিশোরগঞ্জ। ২৬০+

ময়মনসিংহ। ২৪০+

জামালপুর। ২০০+

শেরপুর। ২৫০+

নেত্রকোনা ৩০০+

ভারতঃ
কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ) ১২০+ মিলিমিটার।
২৪ পরগনা ১৫০+

এই পূর্বাভাস অনুসরণে যা মাথায় রাখতে হবে

*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে।
নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় ঝুমুল এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে।

পূর্বাভাস তৈরি : Bangladesh Weather Observation Team Ltd. (BWOT)

[Copyright : বাংলাদেশে BWOT একমাত্র আবহাওয়া সংস্থা যারা বৃষ্টি বলয় নামকরন করে বৃষ্টিবলয়ের পূর্বাভাস করার প্রচলন করে। তাই BWOT ব্যাতিত আর কেউ বৃষ্টি বলয় নামকরণ করে পূর্বাভাস করে বিভ্রান্তি তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন]

*DISCLAIMER: এটা শুধুমাত্র আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য, কোনো সরকারি পূর্বাভাস বা সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত অফিসিয়াল পূর্বাভাসের জন্য সবাই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করুন।
এবং এই পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন, অথবা তাদের পূর্বাভাস অনুসরণ করুন।

ধন্যবাদ : Bangladesh Weather Observation Team- BWOT
আপডেট : ২৮ শে মে রাত ১০ টা।

Share With freinds & Others

Leave a Comment